জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সুযোগ সৃষ্টি: বিপিসি চেয়ারম্যানের মন্তব্য
- By Jamini Roy --
- 21 November, 2024
আগামী জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে যে জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে, সেখানে দাম কমানোর আরও একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান। তিনি বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আয়োজিত ‘বাজার ভিত্তিক জ্বালানি মূল্য নির্ধারণ: সরকার পরিচালিত উদ্যোগ এবং সম্ভাব্য সংশোধন’ বিষয়ক সেমিনারে এ তথ্য জানান।
চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান বলেন, আগামী ছয় মাসের জন্য আমদানি করা তেলের দাম কমানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং এ বিষয়ে সঠিক উদ্যোগ নিলে গ্রাহকদের জন্য আরও সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব। তেলের দাম কমাতে তেল বিক্রি কার্যক্রম অটোমেশনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের স্টোরেজ ক্ষমতা সীমিত এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গত কয়েক মাসে বিপুল পরিমাণ অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। ৫০০ কোটি টাকার বেশি অতিরিক্ত খরচ হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে স্টোরেজ বাড়ানোর জন্য বর্তমানে কাজ চলছে, যার ফলে ভবিষ্যতে খরচ কমে আসবে এবং তেলের দামও কমবে।
সেমিনারে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে আরও সঙ্গতিপূর্ণ করা যেতে পারে। তিনি জানিয়ে দেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দ্রুত বাড়ছে, ২০১৭ সালে যেখানে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ৪ হাজার কোটি টাকা, তা ২০২৪ সালে ৩২ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাবে। ২০২৫ সালে এই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে, যা ৪০ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে।
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, সব পর্যায়ের গ্রাহকদের জন্য একই হারে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা অগ্রহণযোগ্য এবং এটি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। তিনি আরও বলেন, গত তিন বছর ধরে অযৌক্তিকভাবে দাম বৃদ্ধি করে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন আগের লোকসান মেটানোর চেষ্টা করছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণে আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিত এবং চর্চা গ্রহণ করা উচিত।
এসব বক্তব্যের মাধ্যমে মো. আমিন উল আহসান এবং ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন এবং আরো সুবিচারপূর্ণ মূল্য নির্ধারণের গুরুত্বে আলোকপাত করেছেন।